বিপ্লবীরা চায় বিপ্লবের স্বীকৃতি। তাইতো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি নিয়ে ৫ আগস্টের পরও নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আছেন তারা। গত ৩১ ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র পাঠ করতে গিয়েও, শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি।
সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র প্রকাশের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে মার্চ ফর ইউনিটি থেকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেন বিপ্লবীরা। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধেই তাদের অভিযোগ, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে গড়িমসি করছে অন্তবর্তী সরকার। তাই ঘোষণা আসলো নতুন কর্মসূচির।
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থন আদায়ে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ (শনিবার, ৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সরকার এখনো ঘোষণাপত্রের বিষয়ে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আমরা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। অন্তর্বর্তী সরকার নিজ উদ্যোগে এই দায়িত্ব নেয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তা ঘোষণা দেয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি সরকার ৪ দিনে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আজকালের মধ্যে ঘোষণাপত্রের বিষযে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।’ এ বিষয়ে কোনো টালবাহানা করলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজ বা কালকের মধ্যে অতিদ্রুত সময়ে সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে সরকার যেন দৃশমান কিছু গ্রহণ করুক এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে ঘোষণাপত্র তৈরি করুক। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকারকে আহ্বান জানানো হোক।’
ঘোষণাপত্র প্রকাশকে সামনে রেখে গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে মত দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত হলে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী প্রক্রিয়ার দিকে এগোবেন তারা।