কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

হবিগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে ব্যাহত শীতকালীন সবজি চাষ

হবিগঞ্জে অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে শীতকালীন সবজি চাষ। ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে এখনও সবজির চারা লাগাতে পারছেন না কৃষক। বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা তাদের। একই সাথে বাজারেও শীতকালীন সবজির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, আগামীতে আরো বৃষ্টি না হলে সংকট কেটে যাবে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের কৃষক রুহেল মিয়া। ৩০ শতাংশ জমিতে করেছিলেন শীতকালীন আগাম টমেটোর চাষ। তবে অতিবৃষ্টিতে এবার টমেটোর ফলন ভালো হয়নি। ক্ষেতে পানি জমে থাকায় মরে যাচ্ছে গাছ। বাড়তি যত্নও কোনো কাজে আসেনি। লাভ তো দূরের কথা, মূলধন তোলা নিয়েই শঙ্কা তার।

কৃষক রুহেল মিয়া বলেন,‘এবারের বৃষ্টির কারণে আমার সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।’

জেলার মাধবপুর উপজেলা মূলত সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। উপজেলার চৌমুহনী, বহরা ও জগদীশপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যাপকভাবে চাষ হয়। তবে চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে এলাকার অধিকাংশ কৃষকই ক্ষতির মুখে।

অক্টোবরের শুরু থেকেই এই এলাকার কৃষকরা পুরোদমে শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করেন। তবে এ বছরের চিত্র ভিন্ন। ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে এখনও চাষাবাদ শুরু করা সম্ভব হয়নি। অনেক কৃষক জমি প্রস্তুত করে রাখলেও চারা রোপণ করতে পারছেন না। অধিকাংশ ক্ষেতে পানি জমে স্যাঁতস্যেঁতে অবস্থা। এদিকে, বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে নার্সারিতে। কৃষকরা চারা না কেনায় ক্ষতির মুখে নার্সারি মালিকরাও।

এদিকে কৃষকরা বলছেন, ‘প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমাদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’ তবে কৃষি বিভাগের দাবি, বৃষ্টিতে চাষাবাদ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও ফলন বিপর্যয়ের কোন শঙ্কা নেই।

হবিগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘জমি থেকে বৃষ্টির পানি বের যাওয়ার প্রবণতা খুব ধীর মূলত এ কারণে সমস্যা হচ্ছে, তবে আমার মনে হয় না এতে কোনো বড় অসুবিধা সৃষ্টি হবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে হবিগঞ্জে ১৭ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যেখান থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৬০ টন সবজি উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এএম