জেলায় এবার ১৫ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে সবজি উৎপাদনে বাধার মুখে পড়েছেন চাষিরা। প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে বিবর্ণ হতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন সবজির গাছ।
চাষিরা বলেন, ‘সবজির গাছ পুড়ে যাচ্ছে। সেচ ও সার দিয়ে গাছ বাঁচানো যাচ্ছে না। আর আমরাও আবাদ করতে পারছি না।’
প্রতিনিয়ত জমিতে পানি দিয়েও ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। বিবর্ণ হয়ে লাউ, পটল ও বেগুনসহ আবাদ করা নানা গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝরে যাচ্ছে।
এক সবজি চাষি বলেন, সকালে পানি দিয়ে বিকেলেই পানি দেয়া দরকার। কিন্তু পানি দিতে পারছি না। আর পানি না দেয়ার কারণে ফলনও তেমন ভালো হচ্ছে না।’
সবজির রাজ্য হিসেবে পরিচিত জেলার সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম চার বিঘা জমিতে পটলের চাষ করেছেন। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তার কপালে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সপ্তাহে দুইদিন সেচ দিচ্ছি। তাও গাছ ভালো থাকছে না। এই গরমে চাষাবাদ করা কঠিন হয়ে গেছে।’
জেলায় গ্রীষ্মকালীন ১৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে নানা ধরনের সবজির আবাদ হয়েছে। কিন্তু দাবদাহের কারণে ২৫০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে ফসল উৎপাদনে বিঘাপ্রতি যদি ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয় সেক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার বেশি খরচের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, ‘আমরা সবজির ক্ষেতে বিকল্প উপায়ে সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। একইসঙ্গে মালচিং ব্যবহারের জন্য বলেছি।’
তীব্র গরমে গ্রীষ্মকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে ফসল টিকিয়ে রাখতে অতিরিক্ত খরচ। এতে প্রান্তিক কৃষকদের হতাশায় দিন কাটছে।