একটু কম দাম হলেও কৃষকরা জমি থেকেই সরাসরি আলু বিক্রি করছেন। আবার কিছু আলু হিমাগারে রাখছেন বীজ হিসেবে। তবে রাস্তায় ভ্যান আটকিয়ে বস্তাপ্রতি ১৫ টাকা করে ইজারার নামে চাঁদা নিচ্ছে। প্রতিকার না পেয়ে অনেক কৃষক চাষাবাদ ছেড়ে দেয়ার কথা বলছেন।
চাষিরা বলেন, যদি টাকা না দেই তাইলে গাড়ি যেতে দিবে না। আমরা খুব বিপদের মধ্যে আছি। আবাদ করার কোন পরিস্থিতি নাই।
সরেজমিনে দেখতে এখন টেলিভিশন শাজাহানপুর বীরগ্রাম এলাকার একটি আলুর মাঠে হাজির হয়। সেখানে দুই যুবক ইজারার নামে টাকা দাবি করছে কৃষক এবং ব্যবসায়ীর কাছে। পরিচয় এবং কীসের টাকা, উত্তরে শান্ত নামের এক যুবক জানালেন তারা ইজারাদারের লোক। এরপরই মোটরসাইকেল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে তারা।
ইজারার নামে টাকা আদায় করে শান্ত নামের এই যুবক। ছবি: এখন টিভি
মাঠে আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা জানান, ট্রাকে আলুর বস্তা উঠালেই পার্শ্ববর্তী হাটের নাম করে জোর করে বস্তাপ্রতি ১০ এবং ১৫ টাকা করে দিতে হচ্ছে ইজারাদারের লোক পরিচয় দেয়া লোকদের। প্রতি ট্রাকে গুণতে হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, জমি থেকে আলু কেনার পরে ইজারাদারের লোক এসে প্রতি বস্তার জন্য ১৫ টাকা খাজনা দিয়ে যাচ্ছে। এটার সমাধানের কথা বললেও আর হয় নাই।
ইজারাদারদের সাথে বার বার কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার সাফ জানিয়ে দিলেন হাট এলাকার বাহিরে ইজারাদার কোন টাকা তুলতে পারবে না। বলেন, 'জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটা টোল চার্ট থাকে। সে অনুযায়ী তারা টাকা আদায় করতে পাবে। যদি অভিযোগ আসে তাহলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো।'
বগুড়ায় এবার ১৩ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। দিনে প্রায় ২০০ আলুবোঝাই ট্রাক বগুড়া থেকে বিভিন্ন জেলায় যায়। এতে প্রতিদিন ইজারার নামে ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের গুণতে হচ্ছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।