কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

সাতক্ষীরায় রেকর্ড সরিষার আবাদ

২৯ হাজার টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি ৭শ' টন মধু আহরণের আশা কৃষি বিভাগের।

শীতে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ। চলতি মৌসুমে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সরিষার চাষ হয়েছে।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের কৃষক শামছুর রহমান, আগে দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করলেও চলতি মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে এখান থেকে প্রায় ২৮ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

শামসুর রহমান বলেন, 'এখন তেলের দাম বেশি তাই আমরা সরিষা চাষ করছি। বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ মণ হচ্ছে।'

মূলত বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য বাড়ায় বিকল্প হিসেবে বাজারে সরিষার তেলের চাহিদা বাড়ছে। এজন্য সরিষার চাষ বাড়িয়েছেন সাতক্ষীরার চাষিরা। কৃষি বিভাগের হিসেবে জেলায় কয়েক বছরের ব্যবধানে ফসলটির আবাদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ। বাজারে দাম ভালো দাম পাওয়ায় সরিষা চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে চলতি মাসে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ফুল নষ্ট হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হবার শঙ্কা রয়েছে।

কৃষকরা বলেন, 'আমরা ফলন ভালো পাই। বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ মণ পাওয়া যায়। এবার বর্ষার কারণে একটু কম হয়েছে।'

কৃষি বিভাগ বলছে, উপকূলীয় এই জেলায় অধিকাংশ এলাকায় লবণাক্ত হওয়ার কারণে আগে সরিষার চাষাবাদ হতো কম। তবে বর্তমানে দেশি সরিষার পাশাপাশি বারি ও বিনার উদ্ভাবিত লবণাক্ত সহনশীল নতুন জাতের সরিষার চাষ বেড়েছে। এতে স্বল্প খরচে বাড়তি ফলন পাচ্ছে কৃষক।সেই সাথে উৎপাদন বেড়েছে সরিষা ফুলের মধুর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, 'সরিষার সাথে আমরা মধুও হার্ভেস্ট করেছি। গতবছর সাড়ে আট হাজার মৌ-বক্স বসেছিল। এবার ১০ হাজারের মত মৌ-বক্স বসাবো। এটা প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা গেলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।'

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ২১ হাজার ৭৬৭ দশমিক ২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যা থেকে ২৮ হাজার ৯৫০ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া দশ হাজার মৌ বক্সের মাধ্যমে প্রায় ৭শ টন মধু সংগ্রহ করা হবে।