নওগাঁ সদর উপজেলার দূর্গাপুর মাঠে বছরের বেশিরভাগ সময় থাকে জলাবদ্ধতা। তখন ইরি-বোরো ছাড়া অন্য কোন ফসল হয় না। তবে বিকল্প হিসেবে কয়েক বছর ধরে সেখানে পানিফল চাষ করছেন কৃষকরা।
দূর্গাপুর মাঠ ছাড়াও সদরের খাগড়া বিল, মরা বিলসহ বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ে চাষ হচ্ছে পানিফলের। আষাঢ় থেকে ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এই ফলের চারা লাগানো হয়। দুই থেকে আড়াই মাস পর পাওয়া যায় ফল। প্রতিটি গাছ থেকে ৩ থেকে ৪ বার ফল সংগ্রহ করা যায়।
বিঘাপ্রতি ফলন হয় প্রায় ৭০ মণ। আর খরচ পড়ে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। প্রতি মণ ৭শ' থেকে সাড়ে ৭শ' টাকায় বিক্রি করলেও খরচ বাদে লাভ থাকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
চাষিরা বলেন, 'প্রত্যেক বিঘায় ৬০-৭০ মণ ফল হয়। খরচ বাদে ১৫ থেকে ২০হাজার টাকা আমাদের থাকে।'
ঢাকা, সিলেট, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এসে এখান থেকে কিনে নিয়ে যান পানিফল। উৎপাদন বাড়াতে এ বিষয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপ-পরিচালক মো.আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'পানিফল চাষে তেমন একটা উৎপাদন খরচ নেই। বাজারেও এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।'
জেলায় এবছর ৬০ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। যা থেকে ১১শ' টন ফল উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের। যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।