কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

যশোরে আখ চাষে লাভবান কৃষক

অভিজিৎ শান্ত

প্রায় ২৪ কোটি টাকার বাজার তৈরির সম্ভাবনা

যশোরে অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় আখের ফলন ভালো হয়েছে।

দাম ভালো পাওয়ায় আগাম আখ কেটে বাজারে বিক্রি করছেন চাষিরা। উচুঁ ও তুলনামূলক কম উর্বর মাটিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখের চাষ ভালো হয়। তাই মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক। এখানকার আখ বেশি মিষ্টি ও লম্বা হওয়ায় দামও বেশি। তাই বেশি লাভের আশা তাদের।

চাষিরা বলেন, 'এ বছর আখের দাম অনেক বেশি পাচ্ছি। গত বছর প্রতি পিস আখের দাম ছিলো ১৪-১৫ টাকা। আর এবার ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারছি।'

যশোরের বাঘারপাড়ার বলরামপুর গ্রামের রতন দেবনাথ। ৩০ বছর ধরে আখের চাষ করছেন। এবছর ৩৩ শতক জমিতে আখ চাষে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এই জমি থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আখ বিক্রি করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আখের ফলন ভালো হয়েছে। যদি আবহাওয়া আরো ভালো থাকতো তাহলে ফলনও বেশি হতো।'

আখের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মূলা, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে হচ্ছে বাড়তি আয়। একই জমিতে অধিক ফসল হওয়ায় লাভের পাল্লা ভারি চাষিদের।

এদিকে যশোর শহরের খালধার মোড়ের আখের হাটে প্রতিদিন ১০ হাজার পিস আখ উঠে। যার বাজারদর প্রায় ২ লাখ টাকা। বর্তমানে এ হাটে ১শ' পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দামে। স্থানীয় চাহিদা মেটানের পাশাপাশি এখানকার আখ চলে যাচ্ছে খুলনা, সাতক্ষীরা বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

বিক্রেতারা বলেন, 'সাইজে ছোট আখ ৮ টাকা, মাঝারিটা ২০-২২ টাকা আর বড় সাইজেরটা ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আখ বিক্রি করি আমরা।'

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে আখ চাষ লাভজনক করতে কৃষকদের আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষসহ সব ধরনের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত তরফদার এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'আখের ফলন বাড়ানোর পাশাপাশি সবজি এবং অন্যান্য ফসল করার ব্যাপারেও কৃষকদের প্রশিক্ষিত করছি।'

যশোরে এবছর ৩শ' হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ২৪ হাজার টন আখ উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্যে প্রায় ২৪ কোটি টাকা।

এভিএস

আরও পড়ুন: