সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণের এক সপ্তাহ পার হয়েছে। যদিও বদলায়নি বাজারের চিত্র। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
গরুর মাংসের যৌক্তিক দর ৬৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা করে। তবে কিছুটা কমেছে মুরগির দর। প্রতি কেজি ব্রয়লার কিনতে গুণতে হচ্ছে ২০০ টাকা, সোনালী ২৯০ থেকে ৩০০, লেয়ার ২৮০ থেকে ৩০০ ও দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
একজন ক্রেতা বলেন, 'দাম অনেক বেশি। সরকার যা নির্ধারণ করে দিয়েছে তার থেকেও বেশি।'
এদিকে কক্সবাজারে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ সংকটে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। সাগরে প্রত্যাশিত মাছ না পাওয়ায় হতাশার কথা বলছেন জেলে ও ট্রলার মালিকরা।
দাম বাড়ার এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ফলের বাজার। রোজায় চাহিদা বাড়ায় এখনও ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে খেজুর। এ ছাড়া চড়া মূল্যে কমলা, আপেল, আঙ্গুর ও তরমুজ কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। আর এ জন্য পাইকারি পর্যায়ের উচ্চমূল্যকে দুষছেন বিক্রেতারা।
একই চিত্র মুদি বাজারে। যৌক্তিক মূল্যে মিলছে না মসুর, মুগ, ছোলা, খেসারির ডাল। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়, মসুর ১৫০ ও বেসন ১৪০ টাকায়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বাজারে দেখা দিয়েছে খেসারির সংকট, প্রতি কেজি মিলছে ১২৫ টাকায়।
তবে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সবজির বাজার। কয়েকদিনের ব্যবধানে খুলনায় ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব ধরনের সবজির দর। বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় আটকে আছে আলুর দর।
এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ২০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। রমজানে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা কম থাকায় দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'বাজার প্রথমদিকে বেশি ছিল। এখন কিন্তু বাজারে দাম কমেছে। কিনে খাওয়ার মতো দাম এসেছে এখন।'
ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে কোনও উপলক্ষ আসলেই বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দর। তাই বাজারের এই উত্তাপ কমাতে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি তাদের।