সাংগ্রাই ঘিরে বিভিন্ন ক্যাং ও বিহারে চলছে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন, ছাইয়াং দানসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। নতুন জামা কাপড় পড়ে তরুণ-তরুণীরা ঘুরছেন বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ি।
শুধু তাই নয় ঐতিহ্যবাহী জলকেলিতে মেতেছেন পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা। এক অপরকে পানি ছিটিয়ে নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সব বয়সী নারী-পুরুষ। বাড়ি বাড়ি আয়োজন করা হয়েছে হরেক রকম খাবারের। মূলত মারমা সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও সাংগ্রাই ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে বান্দরবান।
একজন তরুণী বলেন, 'র্যালির মাধ্যমে আজকের দিন শুরু করা হয়েছে। কালকে বৌদ্ধ স্নান হবে। এ উৎসবে আমরা অনেক আনন্দ করি। পুরাতন বছরের পুরোনো স্মৃতিগুলো ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই এ উৎসবের মধ্য দিয়ে।'
সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উকৈসিং মার্মা বলেন, 'আমাদের মূল অনুষ্ঠান হচ্ছে পানি উৎসব। যাকে ঘিরে পার্বত্য অঞ্চলসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের ঢল নামে। এ উৎসবকে আমরা এক মহামিলনে পরিণত করে থাকি।'
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, 'পুরনো জরাজীর্ণকে বাদ দিয়ে নতুন বছরকে আমরা স্বাগত জানাই। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।'
১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল বর্ষবরণ উপলক্ষে জলকেলি, পিঠা তৈরি, বৌদ্ধ মূর্তি স্নান, বয়স্ক পূজা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন ও নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব।