সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেয়া হলো নির্যাতিত শিশুর মরদেহ, জানাজা সম্পন্ন

.
দেশে এখন
0

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মরদেহ দাফনের জন্য ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে নিজ জেলায় নেয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার মাগুরায় পোঁছে। এরপর সেখানে শিশুটির নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে বিকেলে সিএমএইচ থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে নেয়া হয়। সেখান থেকে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় শিশুটির মরদেহ।

সন্ধ্যায় সোয়া ৬টায় মরদেহবাহী হেলিকপ্টার মাগুরায় পৌঁছায়। সন্ধ্যায় প্রায় একই সময়ে আলাদা একটি হেলিকপ্টারে মাগুরায় আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। এরপর সেখান থেকে শিশুটির মরদেহ জেলার নোমানী ময়দানে নেয়া হয়। এই ময়দানে পৌনে ৭টার দিকে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ দাফনের জন্য নিজ গ্রামে নেয়া হয়েছে।

আজ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরায় নির্যাতিত শিশু। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজই শিশুটির মরদেহের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ডিএনএ স্যাম্পল ৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। আজই তাকে দাফনের জন্য হেলিকপ্টারে মাগুরা নিয়ে যাওয়া হবে। সাথে থাকবেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।’

আরো পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা গেছে

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিত শিশুটির বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে বড় বোনের বাড়ি মাগুরা শহরে বেড়াতে আসে। সেখানেই বড় বোনের শ্বশুরের লালসার শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি।

গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তাকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢামেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

ইএ