টিএসসিতে গণ-ইফতার কর্মসূচি: রমজানের প্রথম দিনে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

দেশে এখন
0

প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে রমজানের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। যেখানে হামদ ও নাত পরিবেশনসহ ২৪ এর অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে করা হয় দোয়া। আয়োজকরা বলেছেন, বিগত সরকার পতনের পর স্বাধীন ইফতার পালনের অংশ হিসেবে এমন আয়োজন। এই ইফতারকে ধর্মীয় স্বাধীনতা পালনের উপলক্ষ বলছেন আগতরা।

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রোজাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো গণ-ইফতার কর্মসূচি।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার উদ্যোগে এই গণ-ইফতারের আয়োজনে অংশ নেয় প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। টিএসসির এ কর্মসূচিতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য ছিল আলাদা বসার ব্যবস্থা।

ইফতারের আগে হামদ ও নাত পরিবেশন সহ রোজার বরকত হাসিল ও ২৪ এর অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া করা হয়।

ইফতারে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এমন আয়োজন ইসলামের সম্প্রতি ও সহনশীলতার প্রকাশ ঘটায়। তাই অংশ নিতে পেরে খুশি তারা।

ইফতারে অংশ নেয়া একজন বলেন, 'সবাইমিলে একত্রিতভাবে রমজানের প্রথমদিন উদযাপন করতে পারছি, সবাই এভাবে যে ইফতার করতে পারবো কখনও চিন্তা করিনি।'

ইফতারে অংশ নেয়া অন্য একজন বলেন, 'ইসলামিক কালচারগুলো যেমন মানে ঠিক একইসঙ্গে অন্য কালচারগুলোকে আমরা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারি সেটারই মূলত বহিঃপ্রকাশ এটা।'

একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'এটা ভিন্ন ধরনের একটা হাওয়া আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যারা পড়ি, বিশেষ করে যারা হলে থাকি তাদের তো পরিবারের সাথে থাকা হয় না। এখানে সবাইমিলে একটা উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করছি, বং এটা গত ১৬ বছর আমাদের বঞ্চনা ছিল, সবাই মিলে একসাথে হবো, সবাই কথা বলবো। এখানে আমরা কী খাচ্ছি সেটা বড় কথা নয়, সবাই একসাথে হইছি এটাই বড় পাওয়া আমাদের কাছে।'

আয়োজকরা জানান, বিগত সরকার পতনের পর স্বাধীন ইফতার পালনের অংশ হিসেবে এমন আয়োজন। প্রথম রোজায় গণ-ইফতারের মধ্য দিয়ে সেই স্বাধীনতা প্রকাশ করেছে তারা।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, 'এরকম আয়োজন আমরা চলমান রাখবো। আর আমাদের আয়োজনগুলোতে সকলকে সবসময় পাশে চাই। কারণ নতুন বাংলাদেশে আমরা স্বচ্ছতার, জবাবদিহিতার যে বিষয়টি রয়েছে সেটিও আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।'

এই ইফতারকে ধর্মীয় স্বাধীনতা পালনের উপলক্ষ বলছেন আগতরা। মাসব্যাপী এমন সম্মিলিতভাবে ইফতার আনন্দ উপভোগের প্রয়াস তাদের।

এসএস