দুর্জয়, দুরন্ত, নির্ভীক- এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম 'কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট' হিসেবে অভিষিক্ত হবার মধ্য দিয়ে এই রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণের এ আয়োজন। রনসঙ্গিতের সাথে সেনাদের শৃঙ্খল এ পদধ্বনি মুগ্ধতা ছড়ায় প্যারেড গ্রাউন্ডে।
সেনাপ্রধান সেনানিবাসের শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাপ্রধানকে প্রচলিত সামরিক রীতি অনুযায়ী গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে সেনাবাহিনী প্রধানকে পরিয়ে দেয়া হয় 'কর্নেল র্যাঙ্ক ব্যাজ'।
সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, 'বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কর্নেল অব দ্যা রেজিমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি সংযোজনসহ ভূ-উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।'
এসময় সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সেনাপ্রধান। আশা প্রকাশ করেন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন সেনা সদস্যরা।
পাশাপাশি সেনা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজস্ব ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির কথা বলেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, 'এই রেজিমেন্টের প্রতিটি সদস্য দেশের যেকোনো প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রয়োজনের নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে।'
পরে তিনি ১৯তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিয়ে এই রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।