প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আজ আয়নাঘর নামে পরিচিত ঢাকার তিনটি টর্চার সেল পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। জায়গাগুলো আগে নির্যাতন কক্ষ এবং গোপন কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
আয়নাঘর তিনটি পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এছাড়া স্বল্পসংখ্যক দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আয়নাঘরে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন। কাজেই নতুন করে বলতে হবে না। এটার বর্ণনা যদি দিতে হয়ে, শব্দ যদি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে বলতে হবে এটা বীভৎস্য দৃশ্য। মানুষের যে মনুষত্ববোধ আছে সেখান থেকে অনেক গভীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, খুবই নৃশংস। যতটাই শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়।’
তিনি বলেন, ‘সবক্ষেত্রে আইয়্যামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে আওয়ামী সরকার। যারা অপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিচার করা হবে।’
গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। আর তখন বন্দিদের সেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত।
সেদিনই জানানো হয়, কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান। তারা ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন।