দেশে এখন
0

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

চাকরি জাতীয়করণের দাবি আজ (মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার মধ্যে মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। এর আগে, গতকাল ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে ডেকে নিয়ে, রোববারের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন রমনা থানার ডিসি।

রোববার পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর কর্মসূচিতে লাঠিচার্জের পর থেকেই শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। পুরো কর্মজীবনে বেতন না পাওয়া শিক্ষাগুরুরা খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে নিজের আর ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অধিকার আদায়ের লড়াই করে চলেছেন।

৩৭ বছর প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করিয়েছেন। অথচ কোন বেতন পাননি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কারো কারো জীবিকার মাধ্যম হয়েছে ভ্যান চালানো কিংবা কৃষি কাজও।

শিক্ষকদের একজন বলেন, ‘এইগুলো বলতে আমাদের লজ্জা লাগে। ইবতেদায়ি শিক্ষকরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ক্লাস নিয়ে এরপর কেউ রিকশা, ভ্যান চালায়। আবার কেউ কৃষি কাজ করে।’

আরেকজন বলেন, ‘কৃষি কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। খুবই বাজে অবস্থা।’

দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই শিক্ষকরা এখন আর কোন আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে চান না।

আরেকজন শিক্ষক বলেন, ‘সব সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়ে বৈষম্য রেখেছে। ইউনূস সরকার বৈষম্যহীন সরকার তাই তার কাছে দাবি দাওয়া তুলেছি।’

আন্দোলনের একপর্যায়ে শাহবাগ থানায় রমনা জোনের ডিসির সাথে স্বাক্ষাত করেন শিক্ষকদের ৬ জনের প্রতিনিধি দল। এসময় শনিবারের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি সুশৃংখল আন্দোলনে পুলিশ বাধা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

রমনা জোনের ডিসি মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘গতকালের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিছু বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি ছিল। আমাদের পক্ষ থেকেও বাড়াবাড়ি ছিল। তাদের সাথে কথা হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

অধিকার আদায়ে রাস্তায় মার খেতে হবে না, এই আশ্বাস পেলেও, চাকরি জাতীয়করণের কোন লক্ষ্মণ দেখতে না পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। 

আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. আল-আমীন বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক অর্থাৎ শিক্ষা উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের উপর আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।’

এখন অপেক্ষা সরকারের ঊর্ধ্বতন কারো কাছ থেকে দাবি আদায় করেই বাড়ির পথ ধরা।

ইএ