টিআইবিসহ বিভিন্ন নাগরিক সমাজের পরামর্শে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পর এই হালনাগাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা শীষ হায়দার চৌধুরী। আজ (বুধবার, ২২ জানুয়ারি) আইসিটি বিভাগের সচিবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব জানান।
আইসিটি উপদেষ্টা শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, 'এরপরও যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে তবে তা জানালে আইন পাশের আগে সংশোধন, পরিমার্জনের সুযোগ থাকছে। দেশে সুপ্রশস্ত সাবাইর স্পেসকে সুরক্ষায় নিবর্তনমূলক না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তবে সংস্কারের মানসিকতায় এটি নিয়মিত হালনাগাদ হতে পারবে। পেনাল কোডে যেসব বিষয় আছে তা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।'
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, 'বিজিডি গভসার্ট প্রকল্পের অধীনে যে কাজ চলছে তার বাইরে জনপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সিকে আরও কার্যকর করতে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের পর এর পরিধি আরো বাড়বে।'
সংবাদ সম্মেলনে সচিবের সঙ্গে আইসিটি নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব ও আইসিটি অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ বলেন, 'অপরাধবোধের দায়মুক্তি দিতে সক্ষম হবে। ভবিষ্যতে সোকো সরকার একে কালাকানুন হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সে দিকটায় নজর দেয়া হয়েছে। এটা যেন নিবর্তনমূলক না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষার সংজ্ঞায় ইন্টারনেটের সার্বক্ষণিক সংযুক্তি, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা গঠন, ব্যক্তির পাশাপাশি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বিষয়কেও সংযুক্ত করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এই আইন বাংলাদেশের সব পেশাজীবীদের সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। শব্দ চয়নে বিতর্কিত বিষয়গুলোকে সতর্কতার সঙ্গে সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে।'
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আইসিটি নীতি উপদেষ্টা বলেন, 'বিসিসির নিজস্ব সার্ট থাকবে। তবে এনসার্টকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে কেবল ওপেনসোর্স সফটওয়্যার নয় নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।'