টানা তিন মাসের কর্মযজ্ঞ শেষ করে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আমূল পরিবর্তনে সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোকে একীভূত করেছে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন। বুধবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এই চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং সদস্যরা তাদের প্রতিবেদন নিয়ে প্রবেশ করেন। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেন সংস্কার প্রতিবেদন।
বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
তিনি বলেন, কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমার মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু হলো। এখন সব পক্ষের সাথে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান সরকার প্রধান।
৩০০ সংসদীয় আসনকে ৫০৫টি আসনে উন্নীত করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে সংবিধান সংস্থার কমিশনের পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ায় সার্চ কমিটিতে বিরোধীদলকে রাখার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
পুলিশের কার্যক্রমকে বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাবনা এসেছে পুলিশ সরকার কমিশনের পক্ষ থেকে। আর্থিক খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা ১১ টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে আর সাতটি কমিশন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাকি আছে এখনো।