হত্যা মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি সিডি বা কেস ডকেট গায়েব হয় চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের বারান্দা থেকে। এ ঘটনায় গেল রোববার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি।
তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ। আদালত থেকে কেস ডকেট গায়েবের ঘটনায় বিস্মিত হন আইনজীবীরা। চারদিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় গায়েব হওয়া নথি। সিসি ক্যামেরা দেখে ও আদালতে লোকজনের সাক্ষ্য নিয়ে তাকে শনাক্ত করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আটক যুবক আদালতে এক চায়ের দোকানের কর্মচারী। নগরের বাকলিয়ার এক ভাঙারি দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে সে বিক্রি করে এসব নথি। তার ভাষ্য, আদালতের অপ্রয়োজনীয় কাগজ ভেবেছিল সে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘হারানো সিডি কোর্ট বিল্ডিং হতে কৌশলে নিয়ে একটা ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে এ মর্মে আমাদের তথ্য দিলে, সেই তথ্যের ভিত্তিকে তাকে নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। কোতোয়ালি থানা এলাকার পাথড়ঘাটার জনৈক মফিজের ভাঙারি দোকান থেকে আমরা হারিয়ে যাওয়া নয় বস্তা উদ্ধার করা হয়।’
আইনজীবীরা জানায়, ২০২৩ সাল থেকেই এসব নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতের বারান্দায় পড়ে ছিল। মূলত সরকারি কৌঁসুলি বা পিপির কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঠাঁই হয়েছিল বাইরে। রাখা হয়েছিল অরক্ষিত স্থানে। এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে আদালতের নিরাপত্তা ও বিচার কার্যক্রম নিয়ে।
যেখান থেকে এই নথি চুরি হয়েছে তার পাশেই মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা এভাবে নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অবাক আইনজীবীরা।