যাদের রক্ত আর জীবন দানে গণঅভ্যুত্থানের মত এত বড় পরিবর্তন, অথচ তারাই পর্যাপ্ত সেবা ও সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার আর আহতদের নিয়ে এমন আলোচনার মধ্যেই এলো, জুলাই অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু নিয়ে ঘোষণা। আজ (সোমবার, ৬ জানুয়ারি) রেলভবনে সরকারের শীর্ষ ৩ উপদেষ্টা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানান, ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যক্রম শুরু করবে জুলাই অধিদপ্তরের কার্যক্রম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এই অধিদপ্তরের কাজ হবে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণ, গবেষণা ও বিপ্লবীদের সহযোগিতা ও পুনর্বাসন তদারকি করা।
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর মূলত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারের জায়গা থেকে এই সুযোগ সুবিধা আজীবন ভোগ করবেন যেকোনো সরকারই আসুক না কেন।’
এই উপদেষ্টা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তালিকাভুক্ত ৮২৬ জন শহীদ এবং ১১ হাজার শহীদদের নিয়ে আপাতত সহযোগিতার কাজ শুরু করবে এই অধিদপ্তর। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে ৬৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দের অনুমতি দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রথম ধাপে দেয়া হবে ২৩২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
এই বরাদ্দ থেকে শহীদ পরিবারকে ৩০ লক্ষ এবং আহতদের সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয়া হবে সরকারিভাবে। ভবিষ্যতে তাদের জন্য মাসিক ভাতারও ব্যবস্থা করতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, ‘তাদেরকে মাসিক ভাতা সামনের অর্থবছর জুলাই মাস থেকে এইটা শুরু করতে যাচ্ছি। জানুয়ারি মাসে ২৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা শহীদ পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র হিসেবে থাকবে। আর বাকি বাজেট আহতদের জন্য থাকবে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া এই উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছিল, যারা এখনও তালিকাভুক্ত হতে পারেননি তাদের জন্য কী ব্যবস্থা? আর এসব তালিকার স্বচ্ছতাই বা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে?
তিনি বলেন, ‘৮২৬ জন ধরে আমরা কাজ করছি। এর বাহিরে সারা বাংলাদেশে যারা আছে তাদের ক্ষেত্রে আমরা ইউওনো ও জেলা প্রশাসনের অফিস তার মাধ্যমে ভেরিফাই করা হচ্ছে।’
এই ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও জুলাই অধিদপ্তরের মধ্যে সরকারিভাবে কোন সম্পর্ক নেই। বেসরকারিভাবে জুলাই ফাউন্ডেশন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে একইসঙ্গে জুলাই অধিদপ্তর সরকারিভাবে কাজ করবে অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের জন্য, যা এক ধরনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।