দেশে এখন
0

প্রকৃতি ও জনজীবনে শীতের অনুভূতি নিয়ে আসে পৌষ

পৌষ শীতের অনুভূতি নিয়ে আসে প্রকৃতি ও জনজীবনে। শীতের কুয়াশার চাদর, প্রাণ প্রকৃতির নীরবতার।

সুরের গুঞ্জনে তৈরি হয় এক অনন্য আবহ। গরম পিঠার সুগন্ধ ও আগুন জ্বালিয়ে ভাপ নেয়ার উষ্ণতা জীবনে যোগ করে এক সজীব অনুভূতি। পাড়ায় পাড়ায় ব্যাডমিন্টন খেলার উচ্ছ্বাসটাও শুরু হয় পৌষের শুরু থেকেই। সব মিলিয়ে পৌষ যেন এক অনুভূতির ঋতু; যা প্রকৃতি ও মানুষের জীবনে রেখে যায় উষ্ণ স্মৃতির ছাপ।

পৌষের নিকটাত্মীয় এই কুয়াশার চাদর। গাছের শুকনো পাতাগুলো শীতের স্পর্শে কাঁপছে। তার মাঝেই ভেসে আসা সুরে যেন মিললো উষ্ণতার খোঁজ।

প্রকৃতি নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছে শীতল বাতাসে। পৌষের রাত এই শহরকে করেছে নির্জন কবিতার দৃশ্যপট। রাতের ঝরা পাতা, গরম পিঠার গন্ধ, আর রাস্তার মোড়ে জ্বলতে থাকা আগুনের উষ্ণতা। সবকিছু মিলিয়ে পৌষের এ রাত যেন এক সজীব অনুভূতির গল্প বলে।

কেমন করে যেন শীত একটি খেলাকেও নিজের করে নিয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরির ধুম পড়ে যায় পৌষের শুরুতেই। শিশুরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ব্যাডমিন্টনের জোড়া ব্যাটের জন্য।

বাংলাদেশে শীতকাল উৎসবের ঋতু বলেই পরিচিত। পৌষের সন্ধ্যায় গ্রামের উৎসব ভর করে গরম পিঠার ধোঁয়ায়। শহরের অলিগলিতেও দেখা মেলে রকমারি পিঠার পসরা।

ধোঁয়া ওঠা চায়ের দোকান যেন পূর্ণতা পায় এই পৌষেই। চলে আড্ডা, এক চুমুক চা হয়ে ওঠে অমৃত। রাস্তার ধারে জ্বলতে থাকা আগুন শীতার্ত মানুষের মনে আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলে।

রাত বাড়তেই পাল্লা দিয়ে যেন শীতও বাড়ে। কারো কারো কাছে শীতের রাত সুদীর্ঘ। ভারী পোশাকে শীতকে মানিয়ে নেওয়ার কী ভীষণ চেষ্টা থাকে রাতের রাস্তায়।

শীত তীব্র হলেও ক্ষণস্থায়ী। তবু শীত আসে আমাদের বদলে দিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বদলে যায়, বদলে যায় পোশাক, আচরণ, আর অভ্যাস। শীতের পৌষ হয়ে ওঠে রূপসী, বিশেষের মাঝে এক আরও বিশেষ।

এএইচ