দেশে এখন
0

দখলে আঞ্চলিক মহাসড়কের অধিকাংশ যাত্রী ছাউনি

রক্ষণাবেক্ষণের শর্তে যাত্রী ছাউনি পাশে ছোট দোকান করার সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিরাই দখলে নিয়েছে পুরো ছাউনি। বসিয়েছে দোকান। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-নোয়াখালী ও চাঁদপুর-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ জেলার অন্তত পঞ্চাশটি ছাউনির প্রায় একই হাল।

১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ সাল। ৩৫ বছরে কুমিল্লার সড়ক, মহাসড়কের অন্তত পঞ্চাশটি স্থানে নির্মাণ হয়েছে যাত্রী ছাউনি। যা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোথাও কোথাও চুক্তিভিত্তিক ছোট দোকান বসানোর অনুমতি দেয় জেলা পরিষদ।

কিন্তু রক্ষকই যখন ভক্ষক তখন আর উপায় কী? যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা তো দূরের কথা অনেক স্থানে পুরো ছাউনি দখলে নিয়েছেন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি। বিগত সরকার আমলে বহুবার উচ্ছেদের চেষ্টা করা হলেও রাজনৈতিক বাধার মুখে তা আর সম্ভব হয়নি।

কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড় এলাকার ছাউনির ভেতরে বসানো হয়েছে ফল, পান-সুপারি ও এবং খাওয়ার হোটেল। আর বাইরের অংশ দখলে নিয়েছে ভাসমান ব্যবসায়ীরা।

একই দশা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনার মাধাইয়ার যাত্রীছাউনিরও। রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি দখলমুক্ত রাখার চুক্তিতে ছাউনির দুপাশে দুটি দোকানের অনুমতি নেয় দুই সহোদর প্রবাসী কামাল ও খালেক। প্রতি মাসে ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি নিচ্ছেন বিশ্রাম এবং শৌচাগার ফি। এদিকে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।

জেলা পরিষদ কুমিল্লা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে। মানুষের কল্যাণের জন্য যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার আমরা সেগুলো গ্রহণ করব। আমরা আরো উন্নত কুমিল্লা উপহার দেয়ার জন্য কাজ করব।’

জেলা পরিষদের তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে ৫০টির বেশি যাত্রীছাউনি রয়েছে। যার বেশিরভাগই এখন বেদখলে।

এএম