জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ শাসনের পতন হয়। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ বিদেশে খবরের শিরোনামে আসে বাংলাদেশের নাম। এবার জুলাই আন্দোলনে স্বৈরশাসককে উৎখাতের জন্য দ্য ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশের খেতাব পেলো বাংলাদেশ।
ব্রিটিশ সাময়িকীটি প্রতিবছরই কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করে আসছে। এক্ষেত্রে গেল ১২ বছরের উন্নতিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। তবে স্বৈরাচার পতনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ায় এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ বছরের শাসনামলে স্বৈরাচারে পরিণত হন শেখ হাসিনা। বিরোধীদের দমনপীড়নের পাশাপাশি নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছিলেন তিনি। তার তত্ত্বাবধানে দেশ থেকে পাচার হয় বিপুল অর্থ।
ব্রিটিশ সাময়িকীটির দাবি, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় উন্নয়নের পাশাপাশি আগামী বছর নির্বাচনও অনুষ্ঠিত করতে হবে। ক্ষমতা বদলের সঙ্গে বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। যদিও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের ৪ মাসের কার্যক্রমকে আশাব্যাঞ্জক বলছে দ্য ইকোনমিস্ট।
চ্যাম্পিয়ন হবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে সিরিয়া। বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার মাধ্যমে রানারআপ হয়েছে সিরিয়া। এরপরেই রয়েছে আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড।এদিকে, দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পাশাপাশি একটি সংযত মধ্যপন্থি সরকার পুনর্নির্বাচিত করায় গেল বছর বর্ষসেরা দেশের খেতাব পায় গ্রিস।