তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ করার পর এটি পরিপূর্ণভাবে ফিরবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫-এর স্থলে ৫০ করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার মূলত দুটি নির্বাচিত সরকারের মধ্যবর্তী সময়ের শাসনব্যবস্থা। এ সময় অনির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ দেশের শাসনভার গ্রহণের পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে থাকেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রয়াত এরশাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং কোনো সাংবিধানিক সংশোধনী ছাড়াই ১৯৯০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়।
১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া সরকার ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে প্রণয়ন করে।
কিন্তু ২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়। এছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়।
দেশের সংবিধানের সংশোধনী অনুযায়ী, দুই নির্বাচনের মধ্যকার সময়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করে। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট থেকে সর্বশেষ অবসর গ্রহণকারী প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সঙ্গে নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলীও থাকেন। এ সময় সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে।