দেশে এখন
0

‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এক বিন্দুও হস্তক্ষেপ করছে না সরকার’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এক বিন্দুও হস্তক্ষেপ করছে না সরকার। এমনটা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভবিষ্যতেও কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। বলেন, কর্মীদের বেতন দিতে পারে না পারলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা উচিত। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় সাহসী যোদ্ধা হিসেবে ১৩ গণমাধ্যমকর্মীকে দেয়া হয় সম্মাননা।

রক্তঝরা জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সব খবর গণমাধ্যমকর্মীরাই তুলে ধরেছিলেন পুরো জাতির সামনে। নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৮ জন সাংবাদিককে দিতে হয়েছে প্রাণ আর আহত হয়েছেন শত শত গণমাধ্যমকর্মী।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে সাহসী যোদ্ধা হিসেবে ১৩ গণমাধ্যমকর্মীকে দেয়া হয় সম্মাননা।

সভায় উঠে আসে সেই দিনগুলোয় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারের আদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নির্মমতার কথা।

আহত গণমাধ্যমকর্মীরা অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমকর্মীরা সবার খোঁজ নিলেও, তাদের খোঁজ নেওয়ার যেন কেউ নেই।

জুলাই আগস্টের আন্দোলনে সাংবাদিকদের উপর যে ক্ষোভ ফুটে উঠেছিল, তার জন্য কিছু গণমাধ্যমকে দায়ী করেন সাংবাদিক নেতারা। তাদের বিচারের দাবি জানান তারা।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর তালিকায় বাংলাদেশ যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উঠে এসেছে, তার জন্য হাসিনা সরকারকে দায়ী করেন প্রেস সচিব।

আর এই সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিন্দু পরিমাণ হস্তক্ষেপ করেনি, করবে না বলেও মন্তব্য করেন। যারা কর্মীদের বেতন দিতে পারে না তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে ফ্রিডম অব স্পিচ, ফ্রিডম অব প্রেস, ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। কারো কোনো স্বাধীনতায় আমরা এক ইঞ্চি হস্তক্ষেপ করবো না।’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা যেন নিশ্চিত হয় সেই প্রত্যাশা করেন সাংবাদিকরা।

এএইচ