শেরপুরের শ্রীবরদি উপজেলার চৌকিদার বাড়ি কলার হাট। ২০২১ সালে ছোট পরিসরে শুরু হলেও বর্তমানে কলার এই হাটটি জেলার সবচেয়ে বড়।
স্থানীয়ভাবে সাগর, চাম্পা, চিনি চাম্পা, নেপালী ও সবরি কলার চাষ বেশি হয়। এখানকার মাটি কলা চাষে উপযোগী হওয়ায় কৃষকদের মাঝে বাড়ছে আগ্রহ। এই হাটে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কলা বিক্রি হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যা ঢাকা, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, সিলেট, জামালপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা এলাকাতেই বাগান কিনেছি। এক লাখ, দুই লাখ, আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করি। ওখান থেকে লেবার দিয়ে কেটে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করি।’
অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঢাকা, মাদারীপুর, রৌমারি অনেক জায়গা থেকে এসে কলা নিয়ে যায়। আমরা এখন অনেক পরিচিত হয়েছি এই কলার জন্য।’
বিঘাপ্রতি কলা চাষে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভের পরিমাণ দাঁড়ায় এক থেকে দেড় লাখ। এরইমধ্যে কলা চাষ করে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা এসেছে জেলার অনেক কৃষকের। সেচ, সার কম লাগায় অল্প খরচে বেশি লাভবান হচ্ছেন তারা। এছাড়া কলার চারা বিক্রি করেও বাড়তি আয় করছে কৃষকরা।
একজন কলাচাষি বলেন, ‘প্রতি ২৫ শতকে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। পাইকার এসে কলা নিয়ে যায়। বছরে তিন থেকে চার লাখ টাকা আসে।’
কৃষি বিভাগ বলছে, কলা চাষীদের আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেকোনো সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাস।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাজারে প্রতিদিনই চাষিরা কলা নিয়ে আসে। এবং আমাদের শেরপুরের চাহিদা মিটিয়ে এই কলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। কলা একটি লাভজনক ফসল, আমরা কৃষকদের কলার বিভিন্ন কলাকুশল ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি।’
শেরপুরের পাঁচ উপজেলায় চলতি বছর ৪৮৫ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে।