পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
0

শীত আর ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন রাজধানী ঢাকা

রাতের পর সকাল-কনকনে শীত আর ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন রাজধানী। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ অবস্থা চলবে আরো কয়েকদিন। আর মাসের শেষে আসতে পারে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এদিকে বেলা ১১টার পর কোথাও কোথাও দেখা মিলেছে সূর্যের। ছিন্নমূল ও শ্রমজীবীদের পাশাপাশি বিপাকে শিশু ও বয়স্করা। এই শীতে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

ভোরের এই কুয়াশা জানান দিচ্ছে অগ্রহায়ণ শেষে পৌষের আগমনি বার্তা। সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে বছরের প্রথম শৈত্য প্রবাহ দেখলো রাজধানীবাসী।

ভোরের কনকনে ঠান্ডায় অপ্রস্তুত নগরবাসী। বেলা ১১টা নাগাদ আকাশে সূর্য উঁকি দিলেও উত্তাপ ছড়াতে পারেনি তেমন একটা। তবুও জীবিকার তাগিদে পথে নেমেছেন কর্মজীবী মানুষ।

আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থা আরো কিছুদিন চলবে। আর মাসের শেষ দিকে পড়বে তীব্র শৈত্য প্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন,‘শীতের প্রকোপটা আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মতো আরো থাকবে। তবে এরপর তাপমাত্রা বাড়লেও শীত থাকবে। এছাড়া চলতি মাসের শেষের দিকে আবারও একটা শৈত্য প্রবাহ আসতে পারে।’

এদিকে শীতের শুরুতে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে শিশুরা। ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিউমোনিয়া ওয়ার্ডেই ২১ জন শিশু ভর্তি আছেন। শীতের এই সময়ে চিকিৎসার পাশাপাশি পারিবারিক যত্ন প্রয়োজন বলছেন চিকিৎসকরা।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. জোহরা আক্তার বলেন, ‘এ সময়ে বাচ্চাদের অবশ্যই গরম কাপড় পড়াতে হবে, তবে এত বেশি গরম কাপড় পড়ানো যাবে না যাতে বাচ্চা ঘেমে যায়। এছাড়া যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তারা বাহিরে যাবার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।’

অন্যদিকে, বৈশ্বিক বায়ুমান পরিমাপক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বলছে, বৃহস্পতিবার বায়ুমানে বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, সকাল ১০টার মধ্যেই বায়ুর মান ছুঁয়েছে দুইশোর ঘরে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘এই মান সাধারণত শূন্য থেকে পঞ্চাশের মধ্যে থাকার কথা থাকলেও ঢাকায় এই মান ৩০০ পাড় হয়ে যায়। যা অস্বাস্থ্যকর, বিশ্বের অন্যান্য দেশের এমন পরিস্থিতি হলে অ্যালার্ট জারি করে জনগণকে সচেতন করা হয়। যা আমাদের এখানে এখনো করা হয়। ’

নগরীর বাতাস অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ঢাকা। যে কারণে দিন দিন রাজধানীর জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে বলে পর্যবেক্ষণ পরিবেশবিদদের।

এএম