রিটের ওপর দেয়া রুল শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন ধার্য করেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী আনা হয়।
১৭ আগস্ট পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের শুনানি নিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে রুল দেয়া হয়।
রুলের শুনানিতে বিএনপি, জামায়াতসহ ১০জন অন্তর্ভুক্ত হয়ে শুনানি করেন। সব পক্ষই শুনানিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে জোরালো আইনি যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল পুরো সংশোধনী বাতিল চেয়েছেন।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়।