গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যখন নিজেদের কৃতিত্বের দাবি, সাংগঠনিক প্রতিযোগিতাসহ নানা বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন ওঠে ঐক্য নিয়ে। সেইসাথে যখন যোগ হয় বিদেশি আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র। ঠিক তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক জোট আয়োজন করে ছাত্র ঐক্যের।
আজ (বুধবার, ৪ ডিসেম্বর) যেখানে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র অধিকার পরিষদসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের প্রায় সকল ছাত্র সংগঠন অংশগ্রহণ করে। বক্তব্যে তুলে ধরেন দেশ বিনির্মাণের কথা। যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার কথা জানান তারা।
অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, ক্যাম্পাস গুলোতে ঐক্যের জন্য প্রয়োজন ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
অন্যদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের বিচারের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সোশ্যাল মিডিয়াতে অপতৎপরতা বন্ধের আহ্বান সকলের প্রতি।
এদিকে ছাত্র সংগঠনের মধ্যে মত পার্থক্য থাকলেও সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বিদেশি আগ্রাসন রুখতে সব সংগঠন এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট আয়োজিত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে ছাত্র ঐক্য অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকার দায়িত্ব সকলকে নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা এক থাকলে ভারত বাংলাদেশে আর কোনো দিন আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।’