কীভাবে এত আসামি একসাথে পালাতে পেরেছে এ নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে, প্রাথমিক পর্যায়ে কারাগারের অবকাঠামো দুর্বলতা, সেইসাথে কারাগারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিও অন্যতম কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহার হোসেন। একইসাথে ৫ আগস্ট হামলায় ২০১ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহার হোসেন বলেন, ‘ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরিবর্তিত সময়ে কারাগারের বন্দি সংখ্যা সাময়িকভাবে কমলেও বর্তমানে তা উর্ধ্বমুখী রয়েছে। এছাড়া বিশেষ প্রকৃতির বন্দির সংখ্যা নেহাত কম নয়, বরং তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এছাড়া বিভিন্ন অপকর্ম ও অনিয়মের কারণে এরই মধ্যে ৪ জন জেল সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আরো বেশকিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানান কারা মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, ‘অপরাধ প্রমাণ হলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।’
কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহার হোসেন বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে দেশের প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের ধারাবাহিকতায় কারা কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কারা কর্মচারীদের শৃঙ্খলা আনায়নসহ বন্দিদের সকল প্রাপ্যতা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ’
এছাড়া কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংস্কারসহ বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জেলখানায় ডগ স্কোয়াডসহ আধুনিক সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান কারা মহাপরিদর্শক।