দেশে এখন
0

নিয়ন্ত্রণের বাইরে আজিমপুর সরকারি নির্মাণাধীন ভবনের মশক বিস্তার

বছরের পর বছর আজিমপুরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বেজমেন্ট পানি সংরক্ষণাগার হিসেবে ব্যবহার করছেন ঠিকাদার কোম্পানিগুলো। ঠিকাদার কোম্পানির দাবি, টাকা দিলেই সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মীরা ওষুধ ছিটায়। কোম্পানির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নানা উদ্যোগ নিলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মশার বিস্তার। ডেঙ্গুসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন শ্রমিকরা।

শীত আসতেই নগরীজুড়ে মশার উপস্থিতি কমতে থাকলেও এ বছরের চিত্র ভিন্ন। নভেম্বরের শেষে এসেও কোনো কোনো দিন ডেঙ্গুতে মৃত্যুর রেকর্ড গড়ছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, আজিমপুর সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন এসব ভবনের প্রতিটির নিচে জমে আছে পানি, যেখানে মশার অপবাদ বিচরণ স্পষ্ট। যেগুলোকে মশা প্রজননের উর্বর ভূমি বলা যেতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২০ তলা বহুতল ভবনের ১৮ টি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে এখানে। যার মধ্যে ৪ টি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। যেগুলোর বেজমেন্টের অংশ ব্যবহার করা হচ্ছে পানি সংরক্ষণাগার হিসেবে।

বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের জন্য আলাদা পানি সংরক্ষণাগার রাখার নিয়ম থাকলেও বছরের পর বছর এ নিয়মের বালাই নেই। শ্রমিকরা বলছেন, অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।

নির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মশা নিধনে সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত টাকা দিয়ে থাকেন তারা। এর বিনিময়ে ওষুধ ছিটিয়ে যায় মশক কর্মীরা। বেজমেন্টে পানি জমে থাকার দায় স্বীকার করে বলছেন, নির্ধারিত পানি সংরক্ষণাগারে সামান্য পানি দিয়ে বহুতল ভবনের কাজের জন্য যথেষ্ট নয়।

আজিমপুরে নির্মাণাধীন সরকারি কোয়ার্টারের প্রজেক্ট ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আগে পানি ধরে রেখেছি। কারণ এত বড় বিল্ডিংয়ের জন্য পানি যথেষ্ট হয় না। এজন্য আমরা বৃষ্টির পানি ধরে রেখেছি। ওষুধ দেবার জন্য মশক কর্মীরা সপ্তাহে দুইবার করে এখানে আসে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপের পাশাপাশি হটস্পট চিহ্নিত করতে হবে। তাহলেই কমবে ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যু।

এএম

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
No Article Found!