আজ (সোমবার, ২৫ নভেম্বর) সকালে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় কালো রঙের মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এদিন বিকেলে সাভার থেকে জামালপুর যাওয়ার সময় মধুপুর থেকে একটি বাসে থাকা ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ভূঞাপুরে আটককৃতরা হলেন, জেলার গোপালপুর উপজেলার নারচি গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ, একই উপজেলার বনমালী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জয়নাল হোসেন ও আইয়ুব নবীর স্ত্রী নাজমা বেগম, শিমলাপাগা গ্রামের খলিলুর রহসানের স্ত্রী শিল্পী, গোপালপুরের আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সামীরন, নারচি গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর স্ত্রী হাফিজা, ভুঞাপুর উপজেলার চর ভরুয়া গ্রামের বসা শেখের ছেলে মহির উদ্দিন, একই গ্রামের জামালের ছেলে খায়রুল, মজু মিয়ার ছেলে সাগর, বসা শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ, মৃত চান মিঞার ছেলে মোতালেব, মৃত মিনহাজ মিয়ার ছেলে ঠান্ডু ও জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম।
জানা যায়, 'অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশ' নামের একটি সংগঠন বিনা সুদে এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা ঋণ দেয়ার প্রলোভনে নারী ও পুরুষদের নিয়ে আজ সকালে ঢাকায় সমাবেশে যাচ্ছিলো। ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এতে জব্দ করা হয় তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস। এর আগে রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে দুই নারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও লিফলেট পাওয়া যায়।
এদিকে বিকেলে জেলার মধুপুরে একটি বাস থেকে নারী ও পুরুষসহ ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। তারা ভোরে জামালপুর থেকে ওই বাসে ঢাকায় সমাবেশে যোগদান করার জন্য গিয়েছিল।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবির জানান, ওই বাসে থাকা ৪০ জন ভোরে জামালপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল এক লাখ টাকা দিবে মর্মে। যে ব্যক্তির মাধ্যমে ঢাকায় যাচ্ছিল সাভারের নবীনগরে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তির নম্বর বন্ধ থাকায় তারা আর যায়নি যায়নি। পরে তারা নবীনগরে স্মৃতিসৌধে ঘুরে জামালপুরে ফেরার পথে মধুপুরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে সুদ ছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার ঋণ দেয়ার প্রলোভনে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।