নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে রোববার বৈঠক করে সংস্কার কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নানা পরামর্শ উঠে আসে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
আজ (রোববার, ২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সংলাপ শেষে কমিশনের প্রধান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আগের কমিশনগুলো কলঙ্কজনক নির্বাচন করে শপথ ভঙ্গ করেছে। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে নাগরিক সমাজ এক মত।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সবাই এক মত। না ভোটের ব্যাপারে একমত। রাষ্ট্রপতি সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে করার কথা এসেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শও দেয়া হয়েছে।’
না ভোটের বিধান রাখা, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার এখতিয়ার ইসিতে দেয়া এবং কমিশনের কেনাকাটায় স্বচ্ছতা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সাবেক চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
ই-গভার্ন্যান্স, ইসির স্বাধীনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, আনুপাতিক ও প্রচলিত দুই পদ্ধতিতে নির্বাচন, পক্ষপাতিত্ব ছাড়া সীমানা নির্ধারণ, ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশও করেন নাগরিক সমাজ।
আগের কমিশনগুলো কলঙ্কজনক নির্বাচন করে শপথ ভঙ্গ করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে নাগরিক সমাজ এক মত বলে জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্থায়ী করার সুপারিশ দেয় নাগরিক সমাজ।