দেশে এখন
0

শুধু আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুধু আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব নয়। সমাধানে আগ্রহী না হলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক আঘাত হানার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে এবং সংকট সমাধানে তাদের কি লাভ তাও স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলছেন নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো প্রয়োজন।

সাত বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার শিকার ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। সংঘাত এড়াতে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে এভাবে অনুপ্রবেশ ঘটেছে মিয়ানমারের মুসলিম এই সম্প্রদায়ের। বর্তমানে টেকনাফ ও উখিয়ার ৩৩ টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ১২ লাখের বেশি।

মানবিক প্রয়োজনে আশ্রয় নেয়া এ জনগোষ্ঠী পুরোপুরি নির্ভরশীল দেশি ও বিদেশি সহায়তার উপর। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জোরালো অগ্রগতি না থাকার কারণ হিসেবে জাতীয় ঐকমত্যের অভাবকে দায়ী করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বাংলাদেশের রোহিঙ্গা নীতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু। আহমুদ চৌধুরী বলেন সীমান্তে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা আছে।

সংকট সমাধানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গুরুত্বারোপ করেন জাতীয় ঐকমত্যের প্রতি। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন উল্লেখ করেন। বিগত সরকারের করা প্রত্যাবাসন চুক্তিটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর অগ্রগতি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন শুধু আলাপ আলোচনায় কাজ না হলে চাপ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারের উপর। প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অংশীজনদের সাথে সমন্বয় করে অর্থনৈতিক আঘাত হানার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না। সাম্প্রদায়িক সংঘাত থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে মিয়ানমারে সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয় বলে মত দেন বক্তারা।

এএইচ