ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দুই দফা সম্প্রসারণের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের আকার দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এই উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অভিযোগ এসেছে, ছাত্র জনতার বিপ্লবে গঠিত সরকারে ঠাঁই হয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দালালদের। ছাত্র-জনতাকে অন্ধকারে রেখে একতরফা সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে বিপ্লবী সরকারে কথা উঠে এসেছিল। আমাদেরকে বলা হয়েছিল স্থিতিশীলতার কথা। স্থিতিশীলতার জন্য সরকারি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমরা দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তা মেনে নিয়েছিলাম।’
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, ভারতের দালালি করা ব্যক্তিরাও ডাক পাচ্ছেন বঙ্গভবনে, যা বিপ্লবের সাথে বেঈমানির সামিল। উত্তরবঙ্গের কোনো জেলার কেউ উপদেষ্টা নিয়োগ না পাওয়ার সমালোচনাও করেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় সমন্বয়করা বলেন, সবচেয়ে বড় পরিহাসের বিষয় হলো, ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রদের সাথে মশকরা করা হচ্ছে। তিন মাস পরে এসেও আমাদের ছাত্রদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে খুনি শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে।’
বিতর্কিত ব্যক্তিদের কীভাবে নিয়োগ দেয়া হলো তা স্পষ্ট করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।