নরসিংদীতে বর্তমানে কোয়েল পাখির বাচ্চা, মাংস ও ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যে ২৭ জন খামারি অন্তত অর্ধশত খামারে বাণিজ্যিকভাবে পাখিটির চাষ করছেন। এর বাইরে শখের বশে আরও শতাধিক খামারে কোয়েল পাখির চাষ হচ্ছে।
গত ৫ বছরে নরসিংদীতে কোয়েল পাখির চাষ বেড়েছে অন্তত আড়াইগুণ। ২০১৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া এই পাখিটির সংখ্যা ছিলো ৫০ হাজারের কাছাকাছি। ২০২৪ এ তা ঠেকেছে প্রায় দেড় লাখে।
১শ গ্রাম ওজনের কোয়েলের খুচরা মূল্য ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। বিক্রি উপযোগী করতে সময় লাগে গড়ে ৩৫ দিন। পাখির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকায় মুনাফা হয় গড়ে ২০ শতাংশ। তবে, সম্প্রতি খাবারের দাম বৃদ্ধি কিছুটা সংকটে ফেলেছে খামারিদের।
জেলার বিভিন্ন বাণিজ্যিক খামারে কোয়েল চাষের সাথে জড়িত অন্তত ২শ মানুষ। অনেকে খামার পরিচালনা শিখে নিজেই হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা। তবে প্রাণী সম্পদ বিভাগের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় এই খাতে রয়েছে নানা সংকট।
নরসিংদীর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোয়েল পাখি আমাদের প্রাণিসম্পদে নতুন একটা সংযোজন। কোয়েল পাখি সহজে লালন পালন করা যায়। অল্প জায়গায় কম পুঁজিতে এ কাজ করা যায়।
যথাযথ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সহজশর্তে ঋণ দেয়া গেলে এই খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।