ঝিনাইদহের গ্রামাঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক পরিবার দেশীয়ভাবে গরু-ছাগল লালনপালন করেন। যাদের বেশিরভাগই নির্ভরশীল সহজলভ্য খড়-বিচালী ও ঘাসের উপর।
তবে বর্তমানে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে খড়-বিচালী ও ঘাসসহ গো-খাদ্যের দাম। এক হাজার আঁটি বিচালি, ঘাস বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০হাজার টাকায়। দাম বাড়ায় খাদ্যের জোগান দিতে না পেরে গবাদি পশুর খাবার কমিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। পশু পালনের বাড়তি খরচে বন্ধ হচ্ছে অনেক খামার।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, অতিরিক্ত মুনাফালোভীরা বিচালী-ঘাসসহ পশু খাদ্যের দাম তিনগুণ বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আতিকুজ্জামান বলেন, আগে যেখানে বিচুলির দাম ছিল তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এখন প্রায় সাত-আট হাজার টাকা পর্যন্ত উঠে গেছে। খামারি পর্যায় থেকেও আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। আসলে এ মুহূর্তে সেভাবে খাদ্য সরবরাহ করা ডিপার্টমেন্টের পক্ষেও সম্ভব না। কিন্তু আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি।’
ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ১১৩টি খামারে ১২ লাখ ৪৩ হাজার গরু, ১২ হাজার ৩শ মহিষ এবং ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।