গণঅভ্যুত্থানের পর প্রাণ খুলে সত্য কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছেন দেশের মানুষ। আর অবাধ কর্মসূচি কিংবা সভা-সেমিনার ও সমাবেশের সুযোগ পাচ্ছে গত পনেরো বছরে নির্যাতনের শিকার হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো।
শেখ হাসিনার পতন হলেও ফ্যাসিবাদের সাজানো ভঙ্গুর দেশ ও নাজেহাল রাজনীতিকে পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সংস্কার পরিকল্পনা। আজ একমত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি ও জামায়াত-বিএনপিসহ ছোটবড় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে তার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরার পথ রুদ্ধের জোর দাবি বক্তাদের।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, 'বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় বা নিশি রাতের নির্বাচনের পর যদি আমরা নাগরিক সমাজ কুসুম কুসুম বক্তব্য না দিয়ে আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে হয়তো এই ফ্যাসিবাদকে আমরা অনেক আগেই পরাজিত করতে পারতাম।'
বৈঠকে বক্তারা জানান, রাষ্ট্র সংস্কার ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হলে সক্ষমতা আরও বাড়ানো উচিত অন্তর্বর্তী সরকারের। সাম্য ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হলে অভ্যন্তরীণ সংস্কার করতে হবে বিদ্যমান সকল রাজনৈতিক দলগুলোকেও।
তবে আগামীতে ছাত্র-জনতার সমর্থন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে প্রতিদিন ধ্বংস করার ছক কষা হয়েছে। তাদের ডেমোক্রেটিক রাইটসগুলো কোথায় ছিল এতোদিন ধরে? যখন এই বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।'
বিগত আওয়ামী লীগের গঠিত সরকার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বলেন, ভবিষ্যতে যে দলই সরকার গঠন করুন, কোনো দুর্নীতিবাজ যেন ক্ষমতায় না আসে ঐক্যমত হতে হবে সবাইকে।
রাষ্ট্র সংস্কার, আগামী নির্বাচন ও সরকার গঠনে দেশের সকল ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত চান বক্তারা।