উপদেষ্টা আসিফ বলেন, 'জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।’ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আপনারা এমন কিছু নিয়মনীতি গড়ে তুলেছেন যেগুলোর কারণে আপনাদের বিরুদ্ধে হাতও দেওয়া যায় না। আমরা কিন্তু ওসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করব না। নিয়মনীতি মেনে কিন্তু বাংলাদেশে অভ্যুত্থান হয়নি, সরকার পরিচালনায়ও কিন্তু নিয়মনীতি মেনে হবে না, যদি আপনারা সহযোগিতা না করেন, নতুন নিয়োগ দেবো।'
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই উপদেষ্টা। বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটগুলোর উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, টাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার আপনারা কয়টা অভিযান পরিচালনা করেছেন, কী পরিমাণ কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি।
তিনি বলেন, ‘আমাকে বাণিজ্য সচিব তিনদিনের টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন। আমি সেই প্রতিবেদনে একদিন চট্টগ্রামের নাম পেয়েছি, বাকি দুইদিন আপনাদের নামই নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪০-৪৫টা জেলায় টাস্কফোর্স অভিযান করেছে। কিন্তু চট্টগ্রামে তিনদিনের মধ্যে দুইদিনই আসলে কোনো অভিযানই হয়নি।’
আমার মনে হয় এই জায়গায় আপনাদের সদিচ্ছার ঘাটতি আছে কিংবা সরকারের প্রতি অসহযোগিতার একটা ব্যাপার আছে বলেও জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ কয়েকটি দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।