দেশে এখন
0

সীসাযুক্ত পণ্য নিষিদ্ধের দাবি তরুণদের

আন্তর্জাতিক সীসা বিষক্রিয়া প্রতিরোধ সপ্তাহ (আইএলপিপিডাব্লিউ) ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিতে সীসাযুক্ত পণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন তরুণরা। আজ (শনিবার, ১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে জাতীয় শহীদ মিনারে শেষ হয়।

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) কর্তৃক ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই র‍্যালিটি আন্তর্জাতিক সীসা বিষক্রিয়া প্রতিরোধ সপ্তাহ (আইএলপিপিডাব্লিউ) ২০২৪ এর অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়, যার প্রতিপাদ্য ছিল ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ শুরু হোক সীসামুক্তভাবে।’

বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে সীসা বিষক্রিয়া একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে সীসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সামান্য পরিমাণ সীসার সংস্পর্শও শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে মেধাশক্তি হ্রাস, শিখন অসুবিধা এবং আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সীসার সংস্পর্শে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশিরভাগই শিশু। ২০১০ সাল থেকে এসডোর ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফলে বিএসটিআই দ্বারা বাংলাদেশে গৃহস্থালির রঙে সীসার মাত্রা ৯০ পিপিএম নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে শিল্প রঙের ক্ষেত্রে এখনো কোনো নিয়ম ধার্য করা হয়নি যা শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া, ব্যাটারি, খেলনা, বাসনপত্র প্রসাধনী সামগ্রী এমনকি মসলায়ও সীসা ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি করছে। তাই সব ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ করা জরুরি।

তরুণ-নেতৃত্বাধীন এই র‍্যালির উদ্দেশ্য ছিল চলমান এই জনস্বাস্থ্য সংকটের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ এবং শিশুদের এই অদৃশ্য বিষ থেকে রক্ষা করার জন্য আরও কঠোর নিয়মের প্রয়োগ।

‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ শুরু হোক সীসামুক্তভাবে’ শ্লোগানে র‍্যালিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে জাতীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন গঠন করে শেষ হয়। তরুণরা নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা সীসাযুক্ত সব রঙ নিষিদ্ধ করেন এবং পরিবেশে সীসা সংস্পর্শ কমাতে বিদ্যমান আইনগুলো কার্যকর করেন।

র‍্যালির মাধ্যমে জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি, নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। যাতে তারা কঠোর নিয়ম তৈরি করেন এবং তা কার্যকর করেন।

শিশুদের সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশকে সব উৎস থেকে সীসা দূর করতে হবে এবং সকলের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য।

র‍্যালির বার্তা ছিল স্পষ্ট- পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। বাংলাদেশকে অবশ্যই শিশুদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, সীসাযুক্ত সকল পণ্য থেকে সীসা দূর করতে হবে এবং একটি সীসামুক্ত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
টানা তৃতীয় দিনের মতো বছরের সর্বোচ্চ দূষণের কবলে দিল্লি

পুতুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডব্লিউএইচওকে চিঠি দিয়েছে সরকার

‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের দায় শোধে পাশে থাকবে ঢাবি’

গণহত্যায় সহায়তাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের মানববন্ধন

প্রথমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিক আসন পেলো ফিলিস্তিন
প্রথমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিক আসন পেলো ফিলিস্তিন

শিশুদের পোলিও টিকা দিতে গাজায় শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি

মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কৌশলগত পরিকল্পনা

এক দশক ধরে এমপক্স সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ছে আফ্রিকা

এমপক্স নতুন কোভিড নয়: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

মাংকিপক্স নিয়ে সতর্ক অবস্থানে শাহজালাল বিমানবন্দর

আফ্রিকা ইউরোপের পর দক্ষিণ এশিয়াতেও ভয়ংকর এমপক্সের হানা!
আফ্রিকা ইউরোপের পর দক্ষিণ এশিয়াতেও ভয়ংকর এমপক্সের হানা!

খাদ্য সংকটে গাজার অন্তত ৯৬ শতাংশ বাসিন্দা