অপরাধ ও আদালত
দেশে এখন
0

হবিগঞ্জ সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারী চক্র

আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ভারতে অনুপ্রবেশ

হবিগঞ্জ সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারী চক্র। তাদের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধপথে ভারতে অনুপ্রবেশ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। দ্বিগুণ টহল জোরদার করেও মানবপাচার ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিজিবি বলছে, এরই মধ্যে ১৪ জন পাচারকারীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা ও জরুরি চিকিৎসা ছাড়া সব ধরনের ভিসা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই হবিগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের মাত্রা বেড়েছে। যার মধ্যে সহজ পথ হিসেবে মাধবপুর সীমান্তকে বেছে নিচ্ছে মানবপাচারকারী চক্র।

অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, মাধবপুরের ধর্মঘর, মালঞ্চপুর, শিয়ালহরি, কালিকাপুর, মোহনপুর, আলীনগর ও তেলিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় রয়েছে বেশ কয়েকটি মানবপাচারকারী চক্র। জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ঝুঁকি নিয়ে পার করা দেয়া হচ্ছে সীমান্ত। এভাবে অনেক অপরাধীও সহজেই দেশ ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মূলত এই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কিছুটা দুর্বল থাকা এবং সীমান্তের কাছে ভারতের খোয়াই শহর থাকায় এই পথকে বেছে নিচ্ছে চক্রটি।

শুধু সাধারণ মানুষ নয়, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সীমান্ত এলাকায় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালীদের আনাগোনাও বেড়েছে। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তথ্য বলছে, গত দেড়মাসে শুধু ধর্মঘর সীমান্ত থেকে ২৯ জন অনুপ্রবেশকারী এবং একজন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ওই সীমান্তে পাচারে জড়িত ১৪ জনকে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবি। তাদের মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অনেক অপরাধী আবার আছেন আগাম জামিনে।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এরইমধ্যে সীমান্তের টহল দ্বিগুণ করেছে বিজিবি। তবে পাচারে শিশুদের ব্যবহার করায় আইনি ব্যবস্থা নিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুরের সাথে ভারতের সীমান্ত আছে ৬০ কিলোমিটার। এসব সীমান্ত দিয়ে প্রায়ই মানবপাচারসহ চোরাচালান সংঘটিত হয়। স্থানীয়রা বলছেন সীমান্তের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিজিবিকে আরও কঠোর হতে হবে।

এএইচ