মহালয়ায় দেবীকে মর্তে আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দেবীর বোধন, ঘট স্থাপন আর শারদীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে ষষ্ঠীর লগ্ন থেকে। তাতে সকল কল্যাণ নিয়ে ভক্তের ডাকে মর্তে আগমন ঘটেছে দেবী দুর্গার। তাই কারিগরের নিপুণ ছোঁয়ায় কল্যাণময়ীর পবিত্রতা এখন প্রস্ফুটিত।
দেবীর আগমন ঘিরে নগরীর মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে আনন্দযজ্ঞ। তবে পূজা ঘিরে এবার রাজশাহীতে নেই কোন জাঁকজমক আয়োজন। মহাসপ্তমীর দিনেও অনেক মণ্ডপে শেষ হয়নি সাজ-সজ্জার পুরো কাজ। তাই ব্যস্ত সময় পার করছে ডেকরেটরের শ্রমিকরা। এ ছাড়া গেল বছরের চেয়ে এবার কমেছে ৮১টি মণ্ডপ। এতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার আয় কমেছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডেকোরেটর ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘কাজ বড় হলে তখন লোক বেশি লাগবে। এবার তো তেমন কাজ নেই। আমাদের ডেকোরেটর ব্যবসা এবার ভালো হয়নি।’
শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘এবার কাজ কম। আর বাজেট কম থাকায় ছোট করে প্যান্ডেল সাজাতে হচ্ছে।’
এবছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাজেট স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে ছোট হয়েছে পূজা উদযাপনের পরিসর। তবে স্বল্প আয়োজনেও উৎসবের আনন্দে ভাটা পড়েনি বলছে পূজা আয়োজন কমিটিগুলো।
সর্বজয়ী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর ঘোষ টুটুল বলেন, ‘আগের বছরগুলোতে যেভাবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান পেতাম সেটা এবার নেই। যার ফলে তেমন সাজানো হয়নি এবার।’
পূজা মণ্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এছাড়া যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে পেট্রোলিং করা হচ্ছে।’
এদিকে, কালের বিবর্তনে পারিবারিক বা সামাজিক, যেকোনো উৎসব হয়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার নির্ভর। তাতে চাহিদার পাশাপাশি কমেছে ডেকোরেটর ব্যবসার পরিধি। তাই এবারের উৎসবকেন্দ্রীক ব্যবসা আশানুরূপ না হওয়ায় হতাশায় পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।