স্মরণকালের ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয় শেরপুর সদরসহ নকলা, নালিতাবাড়ি ও ঝিনাইগাতি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। তীব্র স্রোত ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় কয়েক হাজার কৃষকের ফসলি জমি।
এবারের বন্যায় আদা, রোপা আমন, শীতকালীন আগাম সবজিসহ ৩২ হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে। বানের পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। এমন অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি সরকারি প্রণোদনার।
কৃষকের মধ্যে একজন জানান, হঠাৎ করে বন্যা এসে ফসল সব তলায় গেছে। কি করে আমরা খাবো এই ধান, চাল নিয়েই আমরা চলতাম।
আরও একজন জানান, জেলা প্রশাসক এবং কৃষি অধিদপ্তর যদি আমাদের এই ক্ষতিটা না পোষায় দেয়। তাহলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের পক্ষে আবাদ করা সম্ভব নয়।
কৃষি বিভাগ বলছে, মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। সব ধরনের সহায়তায় পাশে আছেন তারা।
শেরপুর উপ-পরিচালক জেলা কৃষি বিভাগ ড. সুকল্প দাস বলেন, '১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিকটন চালের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছি। পানি নেমে গেলে কিছু ধান পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে আর একটু সময় লাগবে চূড়ান্ত হিসাব করতে। আমরা আশা করছি সরকার বীজ এবং সার দিয়ে কৃষকের সহায়তা করবে।'
চলতি বছর শেরপুরে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬ টন। তবে আকস্মিক বন্যায় জেলায় খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।