পানি বাড়ায় নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো ইতিমধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি ঢুকতে শুরু করেছে নতুন নতুন গ্রামে। পানি বাড়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পূর্ব ধলার নাটের কোণার প্রায় ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
ইতিমধ্যে বাঁধের অনেকাংশই পানি ছই ছুঁই করছে। স্থানীয়রা বস্তা ও মাটি ফেলে কোন রকমের বাঁধ টিকিয়ে রেখেছে। দুপুর দুইটার পর স্থানীয়দের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও অংশ নেয়। স্থানীয়রা বলছেন কোন কারণে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ভেঙে গেলে পুরো পূর্ব ধলা উপজেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে দুর্গাপুর উপজেলার প্রায় পাঁচটি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে কুল্লাগড়া, গাওকান্দিয়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের পানি বন্দীর সংখ্যাই বাড়ছে। এরইমধ্যে উপজেলার ৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আটটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ মোট ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র বলছে বাংলাদেশের ইতিহাসে নেত্রকোণা জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার পর থেকে আজ (রবিবার, ৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার জারিয়াজানজাইল নামক স্টেশনে ৩০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টায় এই স্টেশনে ৭৫৮ (২০০ + ২৫০ + ৩০৮) মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে দেশের অভ্যন্তরে ৩ দিনে ৭৫৮ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত সম্ভবত আর কোন জেলায় হয়নি।
এদিকে বন্যার্তদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। তবে এলাকাগুলোতে এখনো বিশুদ্ধ পানি সহ ত্রাণ সহায়তার সংকট রয়েছে বলে জানা গেছে।