ধর্ম
দেশে এখন
0

আজ শুভ মহালয়া

অপেক্ষার পালা ফুরিয়ে মহালয়ার আগমনী বার্তায় জানান দিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আর মাত্র ৬ দিন পরেই শুরু মূল পূজা।

ভোরের আলো ভেদ করে ঢাকের আওয়াজে মুখরিত ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গন। ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে আবাহন ঘটেছে দেবী দূর্গার। মন্দিরের উঠোনে দেবীর আগমনী সভায় অপেক্ষায় ভক্তরা।

দেবীর আগমনী বার্তা উঠে আসে ভক্তদের চোখে মুখে। অবসান পিতৃপক্ষের আর সূচনা দেবীপক্ষের। চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা।

ভক্তদের মধ্যে একজন বলেন, 'মায়ের আগমনী সুর বেজে উঠেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হিসাবে আসলেই এটা প্রশান্তির।'

কৈলাস থেকে দেবী দূর্গা মর্ত্যে আসছেন বাবার বাড়ি। সঙ্গে তার চার সন্তান লক্ষ্মী-সরস্বতী, গণেশ-কার্তিক। ভক্তদের মাঝে থাকবেন ৯ দিন। এবার দেবী এসেছেন দোলায় আর ফিরবেন ঘটকে। ভক্তদের চাওয়া দেবী দূর্গার আশির্বাদে পৃথিবী হোক সংকটহীন।

ধূপ, প্রদীপ, উলুর আরতি আর যজ্ঞের মাধ্যমে মহালয়ার দিনে দেবীর অভ্যর্থনায় পূজা করা হয় বেলতলায়, বসানো হয় ঘট। সেইসাথে তিল ও তর্পন দেয়া হয় পূর্বপুরুষদের শান্তি কামনায়। এবারের আগমন চিন্তার হলেও ভক্তদের প্রার্থনায় সেই সংকট কেটে যাবে বলেই মনে করেন ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের উপদেষ্টা পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী। বলেন, সনাতন ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দুনিয়াজুড়ে ৭০০ বা ৮০০ কোটি লোক সবাই আমাদের আত্মীয়। এই পূজাতে সপ্তমীর দিন আমরা দেশিকা পূজা করি। দেশের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি। আমরা এইটা মনের আগ্রহ থেকে করবো যাতে দেশের কল্যাণ হয়।


এসএসএস