এতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অবিলম্বে ৩৫ বছর করার দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেন চাকরিপ্রত্যাশী। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করা হয়।
২০১২ সাল থেকে চাকরিতে বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন চলে আসছে। সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদও এই দাবি তুলে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এই দাবি মেনে নেয়নি।
গত মে মাসে এই দাবি নিয়ে শিক্ষিত তরুণরা আবার রাস্তায় নামলে বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে প্রতিক্রিয়া আসে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা হলে বিপর্যয় ঘটে যাবে সতর্ক করে ছিলেন, এই বয়সে চাকরি পেলে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজে কাজে যোগ দিতেই তাদের ৩৭ বছর পার হয়ে যাবে।
এই যুক্তিতে আন্দোলনকারীদের দাবি নাকচ করেছিলেন শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ক্ষমতায় বসে অন্তর্বর্তী সরকার।
এরপর আবারো নতুন করে আন্দোলনে নামে সরকারি চাকুরিপ্রত্যাশীরা। অবশেষে তাদের সেই দাবি বাস্তবায়নের পথে। সেই লক্ষ্যেই ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠালো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।