সাক্ষাৎকালে দুুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাণিজ্য বৃদ্ধি, নেপালি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদান, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদানসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
উপদেষ্টা বলেন, 'নেপাল বাংলাদেশের অন্যতম নিকটবর্তী প্রতিবেশি ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বাংলাদেশ ও নেপালের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকা সত্ত্বেও বাণিজ্যের পরিমাণ আশানুরূপ নয়।' তিনি এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৩ হাজার নেপালি শিক্ষার্থী মেডিকেলসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছে। তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে উপদেষ্টার সহযোগিতা চান ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, 'বাংলাদেশ ও নেপালের কিছু নদীর উৎসমুখ একই বিধায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের ক্ষেত্রে দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে।' সে অনুযায়ী নেপাল বাংলাদেশকে বন্যা পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে অনিষ্পন্ন বিষয়সমূহ সমাধানের লক্ষ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদারের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ইউজানা বামজানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।_সংবাদ বিজ্ঞপ্তি