দেশে এখন
0

গণভবনকে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর' করার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, 'গণভবনকে জনগণ যে অবস্থায় রেখেছেন সে অবস্থায় থাকবে। গণভবন উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করা হবে।'

আসিফ বলেন, 'আমরা মনে করি সম্পূর্ণ বিচার না হলে ফ্যাসিবাদীদের কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ যেনো কোনো অনুষ্ঠান করতে না পারে সেটি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তারা রাজনীতি করতে পারবে কিনা সেটির সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।'

জুলাই, আগস্টের ছাত্র জনতার তীব্র গণআন্দোলন থেকে গনঅভ্যুত্থান। তোপের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিল পৌঁছে যায় গণভবনে। এরপর থেকেই ফাঁকা পড়ে আছে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর এই বাসস্থানটি। তবে এ ভবনটির বিষয়ে আজ কথা বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘গণভবনকে জনগণ যে অবস্থায় রেখেছেন সে অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ গণভবনের বর্তমান অবস্থার বড় কোনো পরিবর্তন না করেই যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সাউথ কোরিয়ায় এমন স্মৃতি মেমোরিয়াল করা হয়েছিল। আরো অনেক দেশেও হয়েছে। তাদের থেকে জেনে গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রদর্শিত হবে।’

এ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্নভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, বিচারের আগ পর্যন্ত তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।’

জুলাই গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের তালিকা করা হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, খুব শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শহীদ পরিবারদের নিয়ে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি ছিলো বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের পঞ্চম বৈঠক।

এসএস