২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সাংবাদিক গাজী জহিরুল ইসলাম 'ভুয়া জন্মদিন' পালনের অভিযোগে মামলা করেন বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেন, জাতীয় শোক দিবসে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন তিনি। তবে এই মামলায় ২০১৮ সালে জামিন পান বেগম খালেদা জিয়া।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলা করেন বিএনপি চেয়ারপরসনের বিরুদ্ধে। অভেযোগ করেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের জাতীয় পতাকার মানহানি করেছেন তিনি। এ দুটি মামলা ছাড়াও আরও ৩টি মানহানির অভিযোগে মামলা হয় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।
দীর্ঘ ৮ বছর পর এ পাঁচ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার সকালে মহানগর মূখ্য হাকিম মাহবুব আলম ও তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই রায় দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবি মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘লিখিত আবেদন দেখে পাঁচ মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।'
তিনি আরও বলেন, চার বছর আগের এ মামলার বাদি মৃত্যুবরণ করেছেন। আদালতেও উপস্থিত হননি বাদি পক্ষের কোন আইনজীবী।
মাসুম আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘এবি সিদ্দিকী মারা গেছেন কিন্তু তার মামলা মরে নাই তবে আজকে ম্যাডাম খালাস পেয়েছেন। ৫ আগস্টের আগে আদালত শুধু তারিখের পর তারিখ দিয়েছে। কোনো রায় দেয় দিতো না সরকারের কারণে। মামলা ছিল ম্যাডামের জন্মদিনের মামলা।’
এদিকে, সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছেন আদালত।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, ‘একটা বানোয়াট কল্পকাহিনি দিয়ে নাইকো দুর্নীতি মামলা দেয়া হয়েছিল। এই মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী তারিখে স্বাক্ষী না আসলে মামলা ক্লোজ করা হবে। এরপর মামলা আর্গুমেন্টে চলে যাবে।’
আইনজীবীরা বলেন, আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বেগম খালেদা জিয়াকে হেনস্থা করতেই নানা হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে।