দেশে এখন
0

সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির পর মেরামত না করায় নাকাল রাজধানীবাসী

উন্নয়ন কাজের নামে একদিকে সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির পর মেরামত না করা, অন্যদিকে ভাঙাচোরা সড়ক বছরের পর বছর সংস্কার না করায় নাকাল রাজধানীবাসী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার অভাব আর নীতিমালা না মানায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। তবে, খানাখন্দে ভরা সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক।

গেন্ডারিয়া নতুন রাস্তাটি দেখে মনে হতে পারে খালে অথৈ পানি। সড়কের জায়গায় জায়গায় গর্তের আকার এতো বড় যে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি তলিয়ে যায় পানির নিচে।

এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন চকবাজার ও বাদামতলীর পাইকারি বাজারে চলাচল করে পণ্যবাহী শত শত ট্রাক। তবে রাস্তার দু'পাশে গর্তের কারণে দ্রুতগতিতে চলতে পারে না কোনো যানবাহনই।

ট্রাক চালকদের একজন বলেন, ‘এই রাস্তা যদি ভালো হতো তাহলে দয়াগঞ্জের জ্যাম লাগতো না।’

বাস চালকদের একজন বলেন, ‘চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে আটকে আছি এখানে সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু আমরা যেতে পারছি না।’

উন্নয়ন কাজের নামে একদিকে সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, অন্যদিকে বছরের পর বছর সংস্কার না করায় নাকাল রাজধানীবাসী। বিপাকে ব্যবসায়ীরাও।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘আজকে পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে এই অবস্থা। কোনো সংস্কার নেই।’

যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ সড়কটির চিত্রও একইরকম। ঝুঁকি নিয়ে এই পথ পাড়ি দিতে হয় যাত্রী ও চালকদের। তাই দ্রুত ভাঙা সড়কটি মেরামতের দাবি তাদের।

নাগরিকদের ভোগান্তির বড় কারণ খানাখন্দে ভরা ভাঙাচোরা সড়ক। উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, জনভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্টদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে নি এতদিন। পেরিয়ে গেছে মাসের পর মাস। চলাচলে তাই দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রী ও পথচারীদের।

একই চিত্র ঢাকার ব্যস্ততম ইত্তেফাক মোড় থেকে টিকাটুলি হয়ে সায়েদাবাদ হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের। খানাখন্দ থাকায় সবসময়ই গুলিস্তান থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী গাড়িগুলো এই সড়কে আটকে থাকছে। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ড. মহ. শের আলী প্রশাসক বলেন, ‘রাস্তা মেরামতের জন্য যে কাজগুলো করা দরকার তা দ্রুত করা হবে।’

বাজেট অনুযায়ী সঠিক পরিকল্পনার অভাব, নীতিমালা না মানা আর ঠিকাদাররা নিম্নমানের কাজ করা স্বত্ত্বেও তাদের দিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করানোর কারণে এ পরিস্থিতি বলে মনে করেন এই নগরবিদ।

নগরবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘দুর্বল ঠিকাদার, দুর্নীতিগ্রস্ত ঠিকাদার তাদের দিয়েই এই কাজগুলো দীর্ঘদিন করাতে রাস্তার এমন বেহাল দশা।’

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নতুন প্রকল্প না নিয়ে বরং চলমান বড় প্রকল্প শেষ করার পাশাপাশি মানসম্মত কাজ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

আসু

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর