দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট আশিয়ান। দেশের মোট আমদানি বাণিজ্যে এ জোটের অবদান ১৬ শতাংশের বেশি। রপ্তানি আয়েও অপার সম্ভাবনা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার এই দেশগুলোয়।
আসিয়ানের সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (বুধবার, ২৮ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ সমর্থন কামনা করেন।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আসিয়ান ও সার্কের মধ্যে সেতু হতে পারে বাংলাদেশ । দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের কথাও স্মরণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।'
কুয়ালালামপুর মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য হতে পারে উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, 'বাংলাদেশিরা সাশ্রয়ী মূল্যে দেশটিতে চিকিৎসা করাতে পারবেন।'
এর আগে সকালে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলেসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য কানাডাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
কানাডার হাইকমিশনার বলেন, 'তার সরকার অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশে সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে আগ্রহী কানাডা।'
পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে ড. ইউনূস বলেন, 'দেশ পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব। এ সুযোগকে কাজে লাগাবে অন্তর্বর্তী সরকার। জনগণ যতদিন চাইবে এ সরকার ততদিন থাকবে।'
অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাকে সুবিধাজনক সময়ে ফ্রান্স সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এছাড়া, বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। তিনিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশিদার হবার প্রত্যাশা জানান।