বাংলাদেশ ও চীনের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। উভয়পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং নীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও চীন সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ে বিনিময় জোরদার করতে এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতা সংক্রান্ত নতুন সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আজকের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের তিস্তা নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীনের কাছ থেকে পঞ্চাশ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় চীনের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা।
আরো পড়ুন: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই
এর আগে আজ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেইজিংয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সকালে দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দুই দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে চীনা প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
আরো পড়ুন: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সাথে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা
এ বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দু’দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা।
প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা চীনে চারদিনের সরকারি সফরে রয়েছেন। এশিয়ার বোয়াও ফোরামের মহাসচিবের আমন্ত্রণে গত ২৬ ও ২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন মুহাম্মদ ইউনূস।